এখনও নেভেনি শাহজালালের আগুন, কাজ করছে ফায়ারের ২২ ইউনিট
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত হয় গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায়। এর প্রায় ২১ ঘণ্টা পর আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায়ও সেখানে ধোয়া উড়তে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট।
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, উদ্ধার কাজ চলমান। আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। এজন্য ধোঁয়া উড়ছে। তবে আমাদের ২২ ইউনিট আগুন নির্বাপণের জন্য কাজ করছে। আগুন যেন বাড়তে না পারে সেজন্য অনবরত পানি ছিটানো হচ্ছে।
এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন তত বেরিয়ে আসছে। সকাল থেকেই বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। দেখা গেছে উৎসুক জনতার ভিড়ও। তবে ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। পাশাপাশি বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এছাড়া বিজিবির ২ প্লাটুন সদস্যও উদ্ধার সহায়তায় যোগ দেয়।
আগুন লাগার পরপরই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। একইসঙ্গে ঢাকার পরিবর্তে সব বিমান চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রামে, ৩টি ফ্লাইট সিলেটে এবং দুটি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার, সিভিল অ্যাভিয়েশন, আনসার সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি মূলত পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় আট নম্বর গেটের পাশে। আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে, যেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।