পলিথিন ও হাইড্রোলিক হর্নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান

দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, নিষিদ্ধ পলিথিন মজুত ও বিক্রি এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইং এবং বিআরটিএর যৌথ উদ্যোগে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশিক আহমেদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ১৫টি যানবাহন পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ছয়টি যানবাহনে অতিরিক্ত শব্দ ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের দায়ে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং আটটি হর্ন জব্দ করা হয়। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষও এ অভিযানে ১১টি মামলা ও দুটি বাস ডাম্পিংয়ে দেয়।
এ ছাড়া রাজবাড়ীতে আলাদিপুর জামাই পাগলের মাজার গেট এলাকায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাফিজুর রহমান। অভিযানে দুটি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ ও এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মেহেরপুরে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. খাদিজা আকতারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে চারটি মামলা দায়ের, দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং আটটি নিষিদ্ধ হর্ন ধ্বংস করা হয়।
অন্যদিকে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঈষিতা আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন মজুত ও বিক্রয়ের দায়ে তিনটি মামলায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ২৪ দশমিক ৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে একটি যানবাহন থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও একটি হর্ন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, নিষিদ্ধ পলিথিন প্রতিরোধ এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।