মাদ্রাসাছাত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালাল ৬ যুবক

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে ৬ যুবক। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ছয় যুবকের নাম উল্লেখ করে কামারখন্দ থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন—কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের নাঈম হোসেন (২০), জামতৈল গ্রামের ইমরান হোসেন (২২), মো. আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) ও কর্ণসূতি গ্রামের নাজমুল হক নয়ন (২০)।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর সকালে কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রী কলম কেনার জন্য কর্ণসূতি তালুকদার মার্কেটে যায়। সেখানে পূর্বে থেকে সিএনজি নিয়ে ওত পেতে থাকা ছয় যুবক মাদ্রাসাছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে যুবকরা কামারখন্দ উপজেলার সেন্ট্রাল পার্কের পাশে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে নাঈম হোসেন মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় অন্য পাঁচ যুবক বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্সে গান বাজাচ্ছিল। পরে ৬ যুবক মাদ্রাসাছাত্রীকে সিরাজগঞ্জ শহরের কমিউনিটি ক্লিনিকে রেখে পালিয়ে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসা ছুটির পরও সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধ্যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে ছাত্রীর মাকে জানায় যে তার মেয়েকে সিরাজগঞ্জ শহরের কমিউনিটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন ক্লিনিকে পৌঁছে প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।