দেশে ৩১৪ উপজেলাকে ‘সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা’চিহ্নিত
সারা দেশে ৩১৪টি উপজেলাকে ‘সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা’হিসেবে চিহ্নিত করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরের ৩৭ হাজার সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সংগঠনটি থেকে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এর মধ্যে ১৩৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা, ১৭৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা এবং ২১টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
চরম ঝুঁকিপূর্ণ ২১টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে— ঢাকার ধামরাই ও ঢাকা সদর; গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর; টাঙ্গাইলের কালিহাতী; মাদারীপুরের শিবচর ও টেকেরহাট; ফরিদপুরের ভাঙ্গা; পাবনার ঈশ্বরদী; বগুড়ার শেরপুর; নাটোরের বড়াইগ্রাম; চট্টগ্রামের মিরসরাই, পটিয়া ও সীতাকুণ্ড; কক্সবাজারের চকরিয়া; চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা; বরিশালের গৌরনদী; হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও ভালুকা।
এই ২১টি উপজেলা ১৩৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। ঢাকা বিভাগে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ৩০টিরও বেশি উপজেলা রয়েছে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার তালিকায়, এর মধ্যে আছে ঢাকা সদর, ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর সদর, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল সদর ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগেও একাধিক উপজেলা দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : টিকা দিতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় নানি-নবজাতক নিহত
দুর্ঘটনার প্রধান কারণ
১. সড়কের নকশা ও অবকাঠামোগত ত্রুটি
২. সড়ক নিরাপত্তা উপকরণের অভাব (সাইন, মার্কিং, বিভাজক ইত্যাদি)
৩. যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে জনবল ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা
৪. একই সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল
৫. চালকদের দক্ষতার অভাব
৬. সড়ক পার্শ্ববর্তী এলাকার জনবসতির অসচেতনতা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩১৪ এলাকার বাইরেও দুর্ঘটনা ঘটছে, তবে তা নিয়মিত নয়। যেসব এলাকায় ধারাবাহিকভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে, সেগুলোকেই এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাবনায় ট্রাকচাপায় দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা ও গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার পরিসরও বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচিত একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক পরিবহণ কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)