ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে ট্রেনে হামলার ঘটনায় মামলা
ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে রেলপথ অবরোধ চলাকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ ইউসুফ বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রেলপথে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। এই কর্মসূচি চলাকালে আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা ট্রেনটি আটকায়।
আরও পড়ুন : ‘ভৈরব জেলা’র দাবিতে অবরোধ, ট্রেনে ‘বৃষ্টির মতো’ পাথর নিক্ষেপ
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক পুলিশ সদস্য ট্রেনটির ইঞ্জিন থেকে আন্দোলনকারীদের নেমে যেতে বললে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এই ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে আন্দোলনকারীরা ট্রেনটিতে ইট-পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটায়। পরে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মীরা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এই ঘটনায় ট্রেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন : ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
প্রসঙ্গত, ভৈরববাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে ২০০৯ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ভৈরবকে জেলা হিসেবে ঘোষণার কথা বলেন। পরে ওই বছরের অক্টোবর মাসে কিশোরগঞ্জকে ভেঙে কটিয়াদী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, কুলিয়ারচর উপজেলার সমন্বয়ে ভৈরবকে দেশের ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তৎকালীন সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই তারা বর্তমানে মাসব্যাপী ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

মোস্তাফিজ আমিন, ভৈরব