ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনার সঙ্গে জামায়াতের মালিকানার সম্পর্ক নেই : গোলাম পরওয়ার
ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব না দিতে বিএনপি যে দাবি জানিয়েছে, তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতে কোন ধরনের মালিকানার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লোকদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়ে বিএনপির আপত্তির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসে।
বৈঠক শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপির দাবি আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটার ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় সঙ্গে জামায়াত ইসলামের সম্পর্ক নাই। তারা এটা নিয়ে বিতর্কিত করছে। বিএনপিও অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান চালায়। আমরাও অভিযোগ দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি নাই।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ৩৬ দফার এক প্রস্তাবনা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে দিয়েছে বিএনপি।
সেখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বা পোলিং পারসোনাল তথা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের নিকট চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যেমন- ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য যে, এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে এবং এসব শূন্যপদে তড়িঘড়ি করে দলীয় লোক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে।’
তবে বিএনপির প্রস্তবকে বিতর্কিত দাবি করে নির্বাচনে পাল্টা ১৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।

নিজস্ব প্রতিবেদক