নির্বাচন কমিশনের কাছে ৯ দফা দাবি গণঅধিকার পরিষদের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ৯ দফা লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে দলটি দাবিগুলো লিখিতভাবে পেশ করেছে।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল রায়হান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন ইউসুফ।
আরও পড়ুন : নির্বাচনে যেন উপদেষ্টারা অংশ নিতে না পারেন : ইসিকে নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনাগুলো হলো—
১. ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করা।
২. রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে না রাখা।
৩. প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রের বাইরে একটি জায়ান্ট স্ক্রিনে জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রের ভেতরের ভোট কার্যক্রম ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৪. রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স উপজেলাতে পাঠানোর সময় এবং ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রার্থীদের এজেন্টদের সঙ্গে রাখা।
আরও পড়ুন : নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসতে পারে, আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার : প্রেস সচিব
৫. ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগ থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা।
৬. কোনো প্রার্থীর সমর্থকরা অন্য নির্বাচনি প্রার্থীর সমর্থকদের কাজে বাধা প্রদান, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭. বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের) নির্বাচনে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেছে, এমন কোনো কর্মকর্তাকে নির্বাচনি দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখা।
৮. বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এমন বিধান যুক্ত করা।
৯. তফসিলের পর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো।

নিজস্ব প্রতিবেদক