৬ দাবিতে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধ খামারিদের
সমবায়ীদের সরবরাহ করা দুধের মূল্য প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধি, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় সমবায়ী প্রতিষ্ঠান ‘মিল্ক ভিটা’য় দুধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন খামারিরা।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে সমবায়ীরা তাদের খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করলেও সেই দুধ মিল্ক ভিটায় সরবরাহ করেননি।
খামারিরা বলেন, ক্রমাগত গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সেই অনুযায়ী দুধের দাম বাড়ায়নি মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ দুধের দাম দিচ্ছে প্রতি লিটারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এই দামে দুধ বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি লিটার দুধের দাম ৬০ টাকা করার দাবি খামারিদের।
মিল্ক ভিটার সদ্য বিদায়ী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মনির বলেন, খামারিদের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসর রয়েছে তারাই দুধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। তারা দুধের বাজার অস্থিতিশীল করতে চায়। অন্য খামারিরা দুধ সরবরাহ করছে। এখন তো মিল্ক ভিটার কমিটি নেই। দু-এদিনের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে। নতুন কমিটি এলে দুধের দাম বাড়ানো হবে।
১৯৭৩ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারাখানা স্থাপিত হয়। কারাখানাকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে গবাদিপশু পালনে বিপ্লব দেখা দেয়। ব্যাক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠতে থাকে হাজার হাজার ছোটবড় গো-খামার। এসব খামার থেকে মিল্কভিটা দুই লাখ লিটার দুগ্ধ সংগ্রহ করে। দুগ্ধ শিল্পের কারণে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধশালী হচ্ছেন এ অঞ্চলের গো-খামারিরা।
তবে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। খামারিরা প্রতি লিটার দুধের দাম বৃদ্ধি দাবি করে আসছিল বেশ কিছু দিন ধরে। মিল্ক ভিটা দুধের দাম বাড়ালেও খামারিদের কাছ থেকে কেনার দাম বাড়ায়নি। যে কারণে আন্দোলনে নেমেছে খামারিরা।

শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ