জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বই পাবে শিক্ষার্থীরা : প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
‘জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বই বিতরণে সমস্যা হবে না’ বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছনরাজা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মধ্যে পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে বই বিতরণে সমস্যা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বই ছাপা হয়ে যাচ্ছে, এরই মধ্যে আমাদের হাতে বই চলে আসতে শুরু করেছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কারণে বই বিতরণে কোনো সমস্যা হবে না।
উপদেষ্টা শিক্ষক ঘাটতির বিষয়ে বলেন, সরকার শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে, শিগগিরই বিজ্ঞাপন দেখবেন। শিক্ষক নিয়োগ হবে উপজেলার ভিত্তিতে। উপজেলায় যেসব খালি পদ আছে সেগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আগের শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা খাতা দেখতেন তাদের নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হতো—শিক্ষার্থীদের খাতায় বেশি নম্বর দিতে। তাই জিপিএ ৫-এর সংখ্যা বেশি থাকত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যেত এরা পড়তেই পারে না। সে অঙ্ক জানে না। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পায় না। তাদের মধ্যে ৯৪ ভাগ শিক্ষার্থী ফেল করে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, তাহলে এই সার্টিফিকেট ও এই শিক্ষা দিয়ে কী হবে যদি কোনো কাজেই না আসে৷ তাহলে আমরা কেন এমন মুখস্থ বিদ্যায় যাব। আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের পড়াশোনা করালে চলবে না, তাদের নৈতিক শিক্ষাও দিতে হবে। তাদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে মেধাবী, মানবতাবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক, অভিভাবক সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম শামসুল আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ, সিলেটের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
মেধা যাচাই পরীক্ষার মূল বিষয় উপস্থাপন করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট দীপান্বিতা দেবী।
জেলা প্রশাসন প্রথমবারের মতো জেলার ১২ উপজেলার ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে এ মেধা যাচাই পরীক্ষা আয়োজন করে।

দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ