শরণখোলায় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় একটি জলাতঙ্ক (র্যাবিস) আক্রান্ত গরুর মাংস জবাই করে বাজারে বিক্রির অভিযোগে মাংস ব্যবসায়ী আল আমিনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাংস জব্দ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের তাফালবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আল আমিন পালিয়ে যান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে তাফালবাড়ির কৃষক রনি অসুস্থ গরুটি নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসেন। পরিদর্শনে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে গরুটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত। রনিকে গরুটি বিক্রি না করে আলাদা রাখতে পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় এটি বিক্রি করেন আল আমিনের কাছে।
পরে আল আমিন গরুটি জবাই করে কিছু মাংস ফ্রিজে রেখে বাকিটা বাজারে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন শরণখোলা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। তিনি স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে আঙিনার গর্তে পুঁতে রাখা এবং পাশের বাড়ির ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংস বের করেন। মাংস দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মাংস অবশিষ্ট রয়েছে, আর বাকি অংশ বাজারে বিক্রি হয়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগির তালুকদার অভিযোগ করেন, আল আমিন প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত বা অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে। আগেও এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হলেও তাকে থামানো যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মাংস ব্যবসায়ী আল আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং জব্দ মাংস দ্রুত ধ্বংস করা হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জুয়েল বলেন, আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে জলাতঙ্কসহ প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। এমন অপরাধ দণ্ডনীয়। জব্দ করা মাংস পুড়িয়ে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আল আমিন এর আগেও দুইবার মৃত পশুর মাংস বিক্রির অপরাধে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করেছেন।

জাহিদ হিমেল, বাগেরহাট (শরণখোলা)