গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে বিক্রি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করেছে। অভিযানে ৩৭টি রোগাক্রান্ত জীবিত ঘোড়াও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে হায়দরাবাদ এলাকার স্থানীয় কসাইখানায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, র‍্যাব-১ ও পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এই চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি, তাই উদ্ধারকৃত ৩৭টি ঘোড়া এবং জব্দকৃত পাঁচ মণ ঘোড়ার মাংস স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। বুধবার সকালে সেগুলোকে গাজীপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া ঘোড়াগুলোর অধিকাংশই রুগ্ন এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় শুরু হয় ঘোড়ার মাংস বিক্রি। ধীরে ধীরে বিষয়টি চারপাশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরে জেলা প্রশাসন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এরপর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও ফের গোপন কসাইখানায় আবার ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়।