ঘুষ-তদবির ছাড়া লটারিতে ৫৭ কর্মচারী বদলি
ঘুষ ও তদবিরমুক্ত প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণির ৫৭ জন কর্মচারীর বদলি সম্পন্ন হয়েছে। তদবির রোধ ও দুর্নীতি কমানোর অংশ হিসেবে নেওয়া জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে, সবার উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে এই বদলি করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সারের উপস্থিতিতে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, এনডিসি ফরিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে লটারির ফলাফলের অপেক্ষায় কর্মচারীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। কেউ দূরের উপজেলায় পড়বেন কিনা, সেই ভাবনায় ছিলেন অনেকে। তবে সবার সামনেই একটি বাক্সে উপজেলাগুলোর নাম রেখে লটারির মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। অনেকেই এ পদ্ধতিকে 'স্বচ্ছ ও ইউনিক' বলে মন্তব্য করেন।
চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অফিস সহকারী প্রতীমা রানী চক্রবর্তী লটারিতে আদর্শ সদর উপজেলায় বদলি হন। তিনি বলেন, এত বছর চাকরি জীবনে এমন বদলির নিয়ম দেখিনি। ব্যতিক্রম একটি অভিজ্ঞতা হলো, ভালো লাগল।
দাউদকান্দির উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর কবির চৌধুরী বলেন, সবার সামনে লটারির মাধ্যমে বদলি হওয়ায় বিষয়টি একেবারে স্বচ্ছ হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
নাঙ্গলকোটের কর্মচারী আবুল বাশার বলেন, পক্ষপাতিত্ব ঠেকাতে লটারির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমরাও এতে সন্তুষ্ট।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, দীর্ঘদিন একই স্থানে থাকলে কিছু কর্মচারী দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া বদলিকে কেন্দ্র করে নানা তদবিরও চলে। তাই সবাইকে সমান সুযোগ দিতে আমরা লটারির মাধ্যমে বদলির উদ্যোগ নিয়েছি। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বয়স ও অসুস্থতার বিষয় বিবেচনা করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার ৫৭ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর বদলি সম্পন্ন হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যদেরও একইভাবে বদলি করা হবে।

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা