উত্তরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, শিশু-বয়স্কদের ভোগান্তি
দিনাজপুরে কার্তিকের শুরুতেই শীতের প্রকোপ স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের জেলা হওয়ায় মৌসুম পরিবর্তনের প্রভাব এখানে বেশ তীব্র। সন্ধ্যা নামলেই নেমে আসে কনকনে ঠান্ডা, আর দিনের বেলায় সূর্য উঠলেও উষ্ণতা বেশিক্ষণ টিকে থাকে না। কয়েকদিন ধরে রাতের তাপমাত্রা লাগাতার কমতে থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে।
আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে হালকা কুয়াশা ও শীতল হাওয়া। রিকশাচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে কৃষকেরা শীত নিবারণে আগেভাগেই গরম কাপড়ের আশ্রয় নিয়েছেন। দিনের বেলা রোদ দেখা গেলেও ঠান্ডার চাপ পুরোপুরি কমছে না।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে রোগীর চাপও বাড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে। শীত বাড়ার আগেই সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, কয়েকদিন ধরে জেলায় শীতের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, আর আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।

মাসুদ রানা, দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-খানসামা)