‘এই মাত্র খবর এলো, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’
‘এই মাত্র খবর এলো, খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো’, ‘শেখ হাসিনার দিন শেষ, মিষ্টি খাবে বাংলাদেশ’সহ নানা ধরনের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি। সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণার পর এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, টিএসসিতে বড় পর্দায় সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা চলছিল। রায় ঘোষণার পরই ডাকসুর নেতাকর্মীরাসহ অনেকে উল্লাসে মেতে ওঠেন। রায় ঘোষণার পরপরই মিষ্টি খাওয়ানো হয় সেখানে উল্লাস করা লোকজনকে। খুশিতে অনেকে সেই মিষ্টি মুখে দেন। অন্যকে খাইয়ে দেন।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক রিয়াজ যুবায়ের বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, সবাই আলহামদুলিল্লাহ পড়ি। বাংলার জমিনে এখন থেকে শুধুমাত্র ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি চলবে। আমি বিশেষ করে তাজুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের ভিপি সাদিক শিকদার বলেন, আমরা আজকের এই সময়টার জন্য আমরা প্রতীক্ষা করছিলাম। আমাদের যে ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছে, যারা আহত হয়েছে, আজ তাদের পরিবারের খুশির দিন। আমরা এই ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
এভাবে একে একে বিভিন্ন হলের ভিপিরা বক্তব্য দেন। বক্তারা জানান, তারা চান খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এনে তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বড় পর্দায় সেই রায় পড়া চলছিল। পর্দার সামনে শতশত মানুষ ছিলেন। তারা সবাই রায় শোনার অপেক্ষায় অধীর অগ্রহে বসে ছিলেন।
ইংরেজিতে রায় পড়া চলছিল। এর ফাঁকে ফাঁকে রায় শোনার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’সহ নানান স্লোগান দিচ্ছেন। সাজা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসে, পর্দার সামনে তত মানুষ বাড়তে থাকে।
কিছুক্ষণ আবার স্লোগান দেন, ‘এক দুই তিন চার, হাসিনা তুই স্বৈরাচার’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘এখন থেকে প্রতিদিন, লিগ ধরে ধোলাই কর’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।
এভাবে চলে আসে সেই ক্ষণ, যখন সাজা ঘোষণা করা হয়, তখন পর্দার সামনে থাকা সবাই নিশ্চুপ হয়ে যান। আশপাশের শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। সাজা ঘোষণার পরপরই সেখানে থাকা মানুষ উল্লাস করতে থাকেন। উল্লাস করতে করতে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। সে সময় টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সেই মিষ্টি সবাই আনন্দে খান

নিজস্ব প্রতিবেদক