বিইআরসি নির্ধারিত মূল্যে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষিত মূল্যে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পাচ্ছে না ক্রেতারা। কোম্পানি ভেদে প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য ক্রেতাদের ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার ক্রেতাদের অভিযোগ প্রশাসনের তদারকি না থাকায় খুচরা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতারা ইচ্ছে মতো দাম নিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। সিলিন্ডারপ্রতি বাড়তি যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা কার পকেটে যাচ্ছে এ প্রশ্ন ক্রেতাদের?
অপরদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছে, গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কিনতে হয় তাই দাম বেশি।
জানা গেছে, বিইআরসি নভেম্বর মাসের জন্য খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের কাছে ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে এক হাজার ২১৫ টাকা। গ্যাস সিলিন্ডার বাজারজাতকারী প্রায় সবকটি কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার সরকার ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
ক্রেতা পরিচয়ে কয়েকজন খুচরা বিক্রেতার কাছে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম জানতে চাইলে তারা জানান, বেক্সিমকোর ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার এক হাজার ৩৫০ থেকে এক হাজার ৩৭০ টাকা, যমুনার সিলিন্ডার এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৩২০ টাকা, ওমেরার সিলিন্ডার এক হাজার ৩০০ টাকা। বসুন্ধরা ও ফ্রেসের সিলিন্ডার এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ২৮০ টাকা।
আতিক নামের একজন গ্যাস সিলিন্ডার ক্রেতা বলেন, গতকাল রোববার ১২ কেজির একটি যমুনার গ্যাস সিলিন্ডার এক হাজার ২৮০ টাকা দিয়ে কিনেছি।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, বিইআরসি ঘোষিত মূল্যের চেয়ে খুচরা পর্যায়ে কোম্পানি ভেদে একেকটি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা কার পকেটে যাচ্ছে প্রশ্ন তার?
হাফিজুর নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কিনতে হয়। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
বেক্সিমকোর ডিলার প্রদীপ সেন বলেন, বেক্সিমকোর গ্যাসের দাম একটু বেশি। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতি সিলিন্ডার এক হাজার ২৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
বসুন্ধরা গ্যাসের ডিলার পিন্টু সাহা বলেন, বসুন্ধারা গ্যাসের প্রতিটি সিলিন্ডার এক হাজার ২০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়।
ওমেরা গ্যাসের ডিলার রিন্টু সাহার বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে জানান।
যমুনা ও ফ্রেস গ্যাসের ডিলার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রতি সিলিন্ডার যমুনা গ্যাস এক হাজার ২০০ টাকা ও ফ্রেস গ্যাস সিলিন্ডার এক হাজার ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক (অ.দা.) মো. শেখ সাদী বলেন, ভোক্তারা সরকার ঘোষিত মূল্যে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাজার তদারকি চলমান রয়েছে। ভোক্তারা যাতে বিইআরসি ঘোষিত মূল্যে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শামসুজ্জোহা সুজন, কুড়িগ্রাম (ভূরুঙ্গামারী)