বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর সংবাদ এবং  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি আল হেলাল মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ভূরুঙ্গামারী থানায় আয়োজিত সংবাদ সমেলনে ওসি বলেন, ভূরুঙ্গামারীর একাধিক চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহার নামীয় আসামি আনোয়ার হোসেন আরিফ (৩৪) কখনো রাজনৈতিক পরিচয়ে, আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সরকারি কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত। তার বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার ওপর হামলা, অপহরণ ও নাশকতার পরিকল্পনাসহ চারটি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তার সহযোগী একটি চক্র থানা পুলিশসহ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে, যা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।

ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ারের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয়রা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। জেলহাজতে থাকা আনোয়ার ও তার সহযোগীরা পুলিশি কার্যক্রমকে বিতর্কিত করতে কতিপয় সাংবাদিককে ব্যবহার করছে।

আনোয়ার হোসেন আরিফের বিরুদ্ধে ওসির অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষিত কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে তার নাম রয়েছে।

ওসির সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, এক প্রতিবন্ধী তরুণকে অপহরণ করে কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ চাঁদা দাবি করেছিল। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিত।

ওসির সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে ওসি আল হেলাল মাহমুদের সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ভালো মানুষ।