ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হত্যায় প্রধান আসামি দিলীপসহ গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন–জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দিলীপ (৪৯) এবং মামলার দ্বিতীয় আসামি বাবুল মিয়া (২৮)। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-৯ (সিপিসি-১) এর কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরনবী জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব সদস্যরা আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার দিলীপ ও বাবুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় লায়ন শাকিল গ্রুপ এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লায়ন শাকিল ও তার সহযোগীরা দেলোয়ার হোসেন দিলীপের লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ওইদিন রাতেই ফের গোলাগুলির ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম নিহত হন।
নিহত সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ, ওইদিন রাতে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সাদ্দামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মূলত প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে হত্যা করেছে বলে পরিবার দাবি করে।
এই ঘটনায় গত শুক্রবার নিহত সাদ্দামের বাবা মস্তু মিয়া বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলীপসহ মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া