সীমান্তে হত্যা নিয়ে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান ছাত্র অধিকার পরিষদের
সাম্প্রতিক সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলেছেন, সীমান্তে পুনরাবৃত্ত হত্যাকাণ্ড রোধে বাংলাদেশ-ভারত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনাগুলো বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসহ গত সপ্তাহে সীমান্তে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
নাজমুল হাসান দাবি করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও পাটগ্রাম সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো দুই দেশের আলোচনায় অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
বিগত দেড় যুগে সীমান্তে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে নাজমুল হাসান বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক স্তরে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ জরুরি।
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সুদীর্ঘ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী রাখতে সীমান্তে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, পুনরাবৃত্ত ঘটনা সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে এবং এ বিষয়ে স্পষ্ট ও দৃশ্যমান কূটনৈতিক অগ্রগতি প্রত্যাশিত।
সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতারা রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)