মনোনয়নপত্র জমা শেষ ২৯ ডিসেম্বর, যাচাই-বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া রেকর্ডেড ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন এ তথ্য জানান।
তফসিল অনুসারে, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি।
মনোনয়নপত্র বা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি।
নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১৩ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর থেকে সরকার বারবার বলে আসছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন হবে। ইসিও সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়।
এরমধ্যে গত ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। আজ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ দুটি ভোটের দিনক্ষণ জানাচ্ছেন সিইসি।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গতকাল দুপুরে সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বঙ্গভবন থেকে ফিরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি যেমন— ভোটার তালিকা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ব্যবস্থাপনা, প্রবাসী ভোটারদের ভোট, ভোট গণনার পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন সিইসি। ইসির প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক