গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার জায়গা নেই : মির্জা ফখরুল
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তদের গুলির ঘটনায় উদ্বেগ এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও জায়গা নেই। কোনও সময়ই না। আমাদের মতাদর্শ যাই হোক, যে কেউ ভয়ভীতি বা শক্তির আশ্রয় নিলে তাকে একসঙ্গে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
“এ মুহূর্তে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বলা হচ্ছে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। যখন পুরো জাতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন খোদ ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। আমি তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমি আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাস দমনে দৃঢ়ভাবে ব্যবস্থা নেবে।”
এর আগে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে দেখতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশকালে হাদির সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি দলীয় এই প্রার্থী।
তারও আগে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনি পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।
একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দোষীরা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক