গত ১৫ বছরে দেশে কোনো মানুষ গুমের শিকার হয়েছে কি না, তা জানেন না তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই দাবি করেছেন তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফরমাল চার্জ থেকে শেখ হাসিনার অব্যাহতি চেয়ে করা শুনানির সময় এ দাবি করেন তিনি।

শুনানি শেষে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে র্যা বের টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক-বর্তমান সেনাকর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ। সাতজনের হয়ে লড়েন তবারক হোসেন, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আমির হোসেন।

শুনানিতে আমির হোসেন বলেন, প্রসিকিউশনের বক্তব্য হলো— তিনি (শেখ হাসিনা) নাকি সব অপরাধের মা, সব অপরাধের সূতিকাগার। তাদের কথা অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব গুম সংঘটিত হয়েছিল। কোনো কোনো গুমে তার সরাসরি নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এসব অভিযোগের লিখিত কোনো কিছু দেখাতে পারেনি প্রসিকিউশন। কারণ আমার মক্কেল (শেখ হাসিনা) কোনো গুম বা অপহরণের নির্দেশ দেননি। দেশে কোনো গুম হয়েছে কি না, তা তিনি জানতেন না।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে তিনি (শেখ হাসিনা) দায় এড়াতে পারেন কি না?

উত্তরে আইনজীবী বলেন, একটা দেশে বহু অপরাধ বা ঘটনা ঘটে। সবকিছু তো তার (শেখ হাসিনা) নলেজে থাকবে না। এছাড়া, এসব (গুম-নির্যাতন) কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব প্রোপাগান্ডা। কেননা প্রসিকিউশন কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অতএব, এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন।