স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরঞ্জাম চুরি হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসি ও আইপিএস চুরির ঘটনায় রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাসপাতালে আইপিএস না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ইনডোরে রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ ও ডেলিভারি ওয়ার্ডে, যেখানে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে আইপিএস ব্যবহার করা হতো, এখন সেই সুবিধা নেই।
প্রায় তিন লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেবার মান নিয়ে নানা অভিযোগ থাকায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি আই সেন্টার থেকে একটি নতুন এসি চুরি হয়েছে। এর আগে একই কক্ষে হাসপাতালের ঔষধ এবং নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে একটি আইপিএস চুরি হয়েছিল। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এসব চুরি হলো, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ও রহস্য দেখা দিয়েছে।
আই সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবিকা শামীমা ফেরদৌস জানান, আই সেন্টারে কাটুনে মোড়ানো একটি নতুন এসি ছিল। হাসপাতালের কোথাও লাগানোর কথা থাকলেও সেটি এখনও লাগানো হয়নি। চুরির দিন সকালে এসে দেখি দরজার সিটকিনি ভাঙা, কিন্তু তালা ঝুলানো। ভিতরে ঢুকে দেখি এসি নেই। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে জানাই। এর আগেই কক্ষ থেকে আইপিএস চুরি হয়েছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব আলম ভূইয়া জানান, এসি ও আইপিএস চুরির ঘটনায় আমরা কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন, চোরেরা সিসি ক্যামেরার তার কেটে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী প্রতাবকে শোকজ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, হাসপাতালের আইপিএস ও এসি চুরির বিষয়ে থানার পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহাদ মিয়া, মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ)