আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পিকআপচাপায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর সড়কে বিক্ষোভ করার সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় ছাত্রলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিতাসের কড়িকান্দি এলাকায় ঢাকা-হোমনা সড়কে আহত হন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুম মিয়া (২৬)। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মাসুম তিতাস উপজেলার জগতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল সিকদারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাবু বাড়ি ফেরার সময় সোহেল সিকদারের লোকজন তাঁর ওপর হামলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের নিরাপত্তায় বাবুকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। দিবাগত রাত ২টার দিকে বাবুর সমর্থকরা রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করেন এবং কড়িকান্দি এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানের চাপায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুমসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুম।
এদিকে মাসুমের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাঁরা ঢাকা-হোমনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান এনটিভিকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিতাসে কোন্দল অব্যাহত আছে। এই কোন্দল নিরসন করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। এই কোন্দলের জের ধরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যারা এই ঘটনার মূল হোতা এবং ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি এবং তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
এ ব্যাপারে তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল সিকদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন কেটে মুঠোফোন বন্ধ করে দেন।