শাবি আন্দোলনকে সরকারবিরোধী করার চেষ্টা হচ্ছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তর করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তারা এই আন্দোলনের ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে ঢাবির শিক্ষকদের এই সংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয়।
ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করে তারা বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ওই হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। আন্দোলনকে পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও উদ্বেগের; যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।
চলমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে সংগঠনটির নেতারা বলেন, গতকাল আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা অমানবিক এবং শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়।
তারা আরও বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং পুলিশি হামলায় কারও কোনো উসকানি রয়েছে কি না, তাও তদন্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জনিয়েছে ঢাবির শিক্ষকদের এই সংগঠন।