ইবির ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কক্ষ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কক্ষ থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্র, বোমা, গ্রেনেড ও বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে এসব অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে এসব অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলো ভাঙচুর করেন। সে সময় দেশীয় অস্ত্র, বোমা, গ্রেনে ও মদ ও ফেনসিডিলের বোতল পাওয়া যায়।
গতকাল শুক্রবার অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মদের ১৯টি খালি বোতল পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় বাকি কক্ষগুলোতে অভিযান চালানো হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে তিনটি গাড়িতে সেনাসদস্যরা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে পাওয়া যায় একটি অব্যবহৃত পুরোনো পিস্তল, ছয়টি বুলেট, একটি গ্রেনেড, ১০টি রামদা, আটটি চাপাতি, একটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি হকিস্টিক, দুটি হ্যান্ডস্টিক, ছয়টি জিআই পাইপ, ৪৯টি রড, তিনটি লোহার শিক, পটকা বোমা তিন প্যাকেট, ৫০০ গ্রাম ককটেল বারুদ, ২০০ গ্রাম পেট্রল, ৩০০টি মার্বেল, ১৯টি মদের খালি বোতল, দুটি ফেনসিডিলের খালি বোতল, ৯টি ইয়াবা স্টিক, পাঁচটি গাঁজা সেবনের বাঁশি।
অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনী ও মাদকগুলো সংশ্লিষ্ট ইবি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের কাছে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এজন্য সে সময় কোনো অভিযান চালানো হয়নি। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটা শিক্ষার্থীরা ভালো কাজ করেছে।
প্রশাসনের নির্দেশনা নিয়ে আরও অভিযান চালানো হবে বলেও জানান প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ।