দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর শিক্ষা ভবনের মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। একদিন দুপুরে তারা চার দফা দাবি উপস্থাপন করে ঘোষণা দিয়েছেন — এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো
১. অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাদেশের খসড়া সংশোধন করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির প্রতিশ্রুতি প্রদান।
২. চলমান সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিনা শর্তে আত্তীকরণের মাধ্যমে ঢাকাবি শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যাদেশে স্বীকৃতি দেওয়া।
৩. অধ্যাদেশ জারির পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা।
৪. সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও ফেল করানোর হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা।
এর আগে, সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন।

অবস্থান কর্মসূচির কারণে শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা যাতে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, সে জন্য ওই এলাকায় ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। অবস্থান কর্মসূচিতে নারী শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। এসময় তাদের ‘অধ্যাদেশ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য চলবে না চলবে না’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। সাত কলেজের মধ্যে রয়েছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।