‘শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো সম্ভব নয়’

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, শিক্ষকদের জন্য আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে পাঁচ শতাংশ হারে বা ন্যূনতম ২০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বেশি কোনোভাবেই বাড়ি ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে ।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক হলেও টাকা না থাকায় পুরোপুরি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানান শিক্ষা উপদেষ্টা । সচিবালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বর্তমান কাঠামো থেকে আরও বেশি বাড়ানো দরকার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থসংস্থানের ওপর নির্ভর করছে তাদের দাবি পূরণের বিষয়টি। তাদের দাবি যৌক্তিক হলেও, টাকা না থাকায় তাদের দাবি পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আগামী বাজেটে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি প্রস্তাব করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক আবরার।
সি আর আবরার আরও বলেন, আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ হারে বা নূন্যতম ২০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বেশি কোনোভাবেই বাড়ি ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে ।
এদিকে, বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রেস ব্রিফিং করেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলওয়ার হোসেন আজিজি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার চাপে বৈঠকের নামে আই ওয়াশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এটা শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন। তিন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামী বাজেট নয়, এ মাস থেকেই কার্যকর করতে হবে। বিকেল ৫টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে মার্চ টু যমুনা করা হবে।
টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা। একই সঙ্গে সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতিও। ভাতা বৃদ্ধির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এক দফাসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, প্রজ্ঞাপন না দিলে জাতীয়করণের এক দফাসহ আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন তারা।
এদিকে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা অনুসারে ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এই চিঠি দেওয়া হয়।