আন্দোলনরত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন : প্রত্যাশা শিক্ষা উপদেষ্টার

সরকার ঘোষিত বেতনের পাঁচ শতাংশ তথা সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা বাড়িভাড়া গ্রহণ করে আন্দোলনরত শিক্ষকরা শিগগিরই ক্লাসে ফিরে যাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট। শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সংক্রান্ত যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।
অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, আজ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তা যদিও সীমিত, তবে এটি সরকারের সামর্থ্যের মধ্যে ছিল। এর বাইরে এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত কিছু করা সম্ভব নয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মনে করি, শিক্ষক সমাজের জন্য আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন। কিন্তু বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে।
অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমি মনে করি, আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাঁদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন। যদিও অনেক স্থানে ক্লাস চলছে, তারপরও বলবো আর কেউ যেন ক্লাসের বাইরে না থাকেন।
উপদেষ্টা বলেন, যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। তবে এখন অর্থ মন্ত্রণালয় যে বাড়তি বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তা মেনে নিয়ে শিক্ষকরা যেন আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যান- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমি শিক্ষকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তাঁরা যেন ক্লাস শুরু করেন।
এর আগে রোববার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা) প্রদান করা হবে। এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।