শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় শত শত যান
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে যানবাহনের চাপ ততই বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। প্রচণ্ড রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেগুলোকে। পারাপারের ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোট ও লঞ্চে পার হচ্ছেন নদী। দাবি জানিয়েছেন ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট। ঢাকা থেকে শিমুলিয়া নৌ বন্দরের দূরত্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সড়কের এ রুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ঈদযাত্রায় এ পথটি বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা। কিন্তু, ফেরি সংকট ও সময় মতো ফেরি না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোটে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও।
যাত্রী সুচিত্রা রানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঈদে ঘাটে চাপ পড়বে বলে আগে থেকে পিকআপে করে রওনা দিই। ভোরের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে রওনা হয়ে এখন বাজে বেলা ১১টা। এখনো নদী পার হতে পারিনি। শুনলাম ফেরি কম।’
যাত্রী আল আমিন সরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকা উত্তরাতে থাকেন। আজ ভোরে ঘাট এলাকায় পৌঁছালেও পার হতে পারেননি তাঁরা।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ভোর থেকে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকেই এটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, বর্তমানে মোট ৭টি ফেরি চলাচল করছে। আরও কটি রো রো ফেরি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে যানবাহন পারাপারের জন্য যুক্ত হয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। ভোর থেকে তিন শতাধিকের ওপরে গাড়ি পারাপার হয়েছে।