মাসাকাদজার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের বড় সংগ্রহ
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত যে যথার্থ ছিল তা ভালোমতোই প্রমাণ করলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১৫৩ রান।
উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান যেগ করে দলকে ভালো ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মাসাকাদজা ও সিবান্দা। এটিই টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির নতুন রেকর্ড। ১২তম ওভারের শেষ বলে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৩৯ বলে ৪৬ রান করে ফিরে গেছেন সিবান্দা। তবে মাসাকাদজা ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন আরো কিছুক্ষণ। ১৮তম ওভারে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৫৩ বলে ৭৯ রান। মেরেছেন নয়টি চার ও দুটি ছয়। শেষ তিন ওভারে ভালো বোলিং করে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহটা খুব বেশি বড় করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন। শেষ তিন ওভারে জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছে ১৬ রান। হারিয়েছে চারটি উইকেট। ১৯ ও ২০তম ওভারে মুস্তাফিজ ও আল আমিন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। সব মিলিয়ে চার ওভার বল করে ১৮ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। চার ওভার বল করে ২৪ রানের বিনিময়ে আল আমিনও নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে যে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তারই অংশ হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হতে যাচ্ছে শুভাগত হোম ও নুরুল হাসানের। দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। বাদ পড়েছেন ইমরুল কায়েস, আরাফাত সানি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ে কাটিয়েছে ভয়াবহ খারাপ সময়। বছরের শুরুতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের মুখ দেখতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে।
বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, শুভাগত হোম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, নুরুল হাসান।