ভোলার সব রুটের লঞ্চে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছে লাখো মানুষ। এরই অংশ হিসেবে মানুষ লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছে। তবে, অন্যান্য বারের চেয়ে কিছু রুটে এবার লঞ্চে যাত্রীর চাপ কম বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট থেকে বরিশালগামী যাত্রীর চাপ কম থাকলেও উপচেপড়া ভিড় ছিল ভোলা জেলার সব কয়টি রুটে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চরফ্যাশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ‘এমভি টিপু ১৩’ ও ‘এমভি কর্ণফুলী’ লঞ্চ। আর ৯টায় ছেড়ে যায় ‘তাশরিফ-৩’। একই সময়ে এ রুটে আরও তিনটি লঞ্চ অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এ ছাড়া ভোলা রুটে সকাল থেকে দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলেও জানা যায়। ভোলার বিভিন্ন রুটে আজ আরও ১৫ থেকে ১৮টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
তবে সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী রুটে যাত্রী সবচেয়ে কম। বরিশাল রুটের লঞ্চ লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদে এত কম যাত্রী আর কখনও দেখেননি তাঁরা। যদিও তাঁরা আশা করছেন, কিছুদিন পর আবারও পুরোনো যাত্রী ফিরে পাবেন তাঁরা। পদ্মা সেতু হওয়ায় যাত্রী কম বলে জানান তাঁরা।
চরফ্যাশনগামী যাত্রী রায়হান আহম্মদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়া হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে আমাদের অনেক উন্নতি হবে। কিন্তু, ভোলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে লঞ্চই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।’
বরিশালগামী যাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘লঞ্চে যেতে আলাদা মজা পাওয়া যায়। দিনের আলোয় নদী দেখার মজাটাই আলাদা। সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলো নিয়ে যাতায়াতের জন্য লঞ্চই উপযোগী।’