গ্রিসে বিধ্বস্ত বিমানে কোনো অস্ত্র ছিল না : আইএসপিআর
বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসের কাভালা শহরে যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য কেনা মর্টারশেল থাকলেও অন্য কোনো অস্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, সার্বিয়া হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টারশেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও বিমানটিতে কোনো অস্ত্র ছিল না। চালানটি ছিল বীমার আওতাভুক্ত।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় কাভালা শহরের পালেওচরি গ্রামে একটি কার্গো উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটি বাংলাদেশের জন্য সমরাস্ত্র পরিবহণ করছিল বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বিবিসির প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কার্গো উড়োজাহাজটি থেকে ব্যাপক মাত্রায় ধোঁয়া নির্গত হয়।
দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ৮ জন ক্রুর সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ। তিনি বলেন, ‘আন্তোনভ অ্যান-১২ নামে কার্গো উড়োজাহাজটি প্রায় ১১ টন অস্ত্র ও মাইন নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।’
কার্গো উড়োজাহাজে থাকা সমরাস্ত্রগুলো সার্বিয়ায় তৈরি। সর্বশেষ গন্তব্য ঢাকায় পৌঁছানোর আগে জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি নেওয়ার কথা ছিল।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, ঘটনাস্থল নিরাপদ বিবেচিত না হওয়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ও গ্রিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কর্মীরা সেখানে যেতে পারছেন না।
বিধ্বস্ত হওয়া আন্তোনভ উড়োজাহাজটি ইউক্রেনের এয়ারলাইনস কোম্পানির বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
নর্দার্ন গ্রিস ফায়ার ব্রিগেডের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সময়কার বাতাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তেমন কিছু না মিললেও ঘটনাস্থল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’