সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রা বন্ধে দায়িত্ব নিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশযাত্রা বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে দায়িত্ব নিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এএম আমিন উদ্দীন। এ মর্মে এ সংক্রান্ত করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে এ বিষয়ে আমাকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। আমি এ বিষয়ে দায়িত্ব নিচ্ছি কঠোরভাবে মেইনটেইন করার। তাই রিটটি আপাতত খারিজ করা হোক।
গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সরকারি আদেশ অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশযাত্রা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার সুমন আদালতে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে কৃষিমন্ত্রীর পিএস বিদেশে গেছেন। এভাবে অনেক কর্মকর্তা সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে বিদেশে যাচ্ছেন। পরে আদালত রিট আবেদনটি দায়েরের অনুমতি দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়। পরে আদালতে শুনানির জন্য এলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে কারিজ করা হলো।
এর আগে গত ১২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করে সরকার।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনাপরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার পর গত ১১ মে অনলাইন মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, এখন থেকে বিদেশ সফর আর নয়। যদি বিশেষ কারণে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে যেতে হয়, তাহলেই যাবেন, অন্যথায় নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর কমানো হচ্ছে। কমানো হবে।’