রাজধানীতে তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আজ সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বাসে ১০ মিনিটের পথ পার হতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি সময়। অফিসগামী যাত্রী, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
আজ রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, পল্টন, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী, রামপুরা ও বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহণ খুবই ধীরগতিতে চলছে। কোথাও কোথাও এক সিগনালেই আটকে থাকে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর কয়েক মিনিট চলার পর আবারও আটকা পড়ে জটে। একই অবস্থা ছিল ধানমণ্ডি, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর ও আসাদগেট এলাকায়ও।
ইকবাল হোসেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, সকাল ৮টায় বের হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত আসতে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা। পুরোদিনটা মাটি হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এ কারণে আশপাশের সড়কে যান চলাচল কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। এতে ওই এলাকা এবং আশপাশের এলাকার সড়কে যানজট তৈরি হয়। অন্যান্য সড়কেও এর প্রভাব পড়ে।
যানজটে ভোগান্তিতে পড়া অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শাহবাগ থেকে উত্তরাগামী যাত্রী কাওসার হোসেন লিখেছেন, বিজয় সরণির জ্যামে বসে আছি ৪০ মিনিট। তারিফ উল্লাহ নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত পুরো প্যাকড। বাড্ডা থেকে মালিবাগ হয়ে সদরঘাটের যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, রামপুরা থেকে জ্যাম। এর আগে কখনো এরকম জ্যাম দেখিনি। ফ্লাইওভারের উপরে-নিচে সব ব্লকড, কোনো গাড়ি চলছে না। বিহঙ্গ পরিবহণের ওয়েবিল কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে আমাদের সব গাড়ি বন্ধ। সকাল ৬টায় মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি ৬ ঘণ্টা পর সদরঘাট পৌঁছেছে।
গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত কর্মসূচির বিষয়টি অবহিত করে যান চলাচল সীমিত করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বিকেলে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, ভিভিআইপি মুভমেন্টের কারণে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত করা হয়েছিল। কোনো কোনো স্থানে নিয়ন্ত্রণও করা হয়। তবে দুপুরের পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।