মামলা বাতিলে নোমানের আবেদন খারিজ
সম্পদের হিসাব না দেওয়ার মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা থাকল না।
আজ সোমবার মামলা বাতিলে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মামলাটির বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, আবদুল্লাহ আল নোমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এ বিষয়ে খুরশিদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলা বাতিলে আবদুল্লাহ আল নোমান হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, সেই আপিলের শুনানিকালে তাঁর আইনজীবী মামলাটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন, এতে তাঁর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই।’
এর আগে দুদকের এ মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করলে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ এবং বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার তা খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নোমানের এক আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন, পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। স্থগিত হওয়ার আগে মামলাটি ঢাকার একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পক্ষে এর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ ১৯৯৭ সালের ৭ অগাস্ট সম্পদের তথ্য বিবরণী চেয়ে নোমানকে চিঠি দেন। ওই সময়ের আইন অনুসারে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের তথ্য দাখিলের বিধান থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি সময় বৃদ্ধির জন্যও আবেদন করেননি।
এরপর জাহিদ বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা এখন দুর্নীতি দমন কমিশন চালাচ্ছে।