লক্ষ্মীপুরে হিমাগার থেকে উদ্ধার সেই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত
লক্ষ্মীপুরে পরিত্যক্ত হিমাগার থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাহিনুর বেগম (২৫)। তিনি লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি চকলেট কারাখানার শ্রমিক ছিলেন। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই হিমাগারে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তামিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহিনুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকার নুরনবীর মেয়ে। গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার চররমনীমোহন ইউনিয়নের চরআলী হাসান গ্রামের মজুচৌধুরীরহাট এলাকার পরিত্যক্ত হিমাগার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে কাজে বের হয়ে দুদিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, একটি শিশু হিমাগারটির পাশে খেলতে যায়। একপর্যায়ে সে পরিত্যক্ত ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে বেরিয়ে আসে। পরে আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানো ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাহিনুরের মা মনি বেগম ও বড় বোন রোকেয়া বেগম জানান, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়েছিলেন মাহিনুর। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেসবুকে মরদেহের ছবি দেখে প্রকাশ হওয়ার পর তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং থানায় গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। মাহিনুরকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।’