গত বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে এক লাখ ২২ হাজার ৭৭৫ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একই সময়ে চার কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা, এক লাখ ১৫ হাজার ৩৬৭ কেজি গাঁজা, সাত লাখ ছয় হাজার ৬১ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে সরকার দলীয় এমপি মোরশেদ আলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা মিলে সারাদেশে এক লাখ ৩২১টি মামলা হয়েছে। আর এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’

কোস্টগার্ডের তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনী নিয়মিত এবং প্রয়োজনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। জাহাজ, বেইস, বোট, স্টেশন ও আউটপোস্টে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬ পিস ইয়াবা, ১১ হাজার ৪৬৭ বোতল মদ, ৯৮৩ লিটার দেশীয় মদ, ১২৭ দশমিক সাত কেজি গাঁজা, তিন দশমিক সাত কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও দুই লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৭ সিগারেট জব্দ করেছে।’

কক্সবাজার এলাকায় মাদক চোরাচালান রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে টেকনাফে একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে ২৯ জনবলের বিশেষ জোন স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া নৌপথে ইয়াবা পাচার বন্ধে টেকনাফে দুটি স্পিডবোটের মাধ্যমে টহল জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী, টেকনাফ ও সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য ১২টি হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট, চারটি এয়ার বোট কেনা হয়েছে। টেকনাফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার বর্ডার রোড তৈরি করা হয়েছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর ৪০ ধারা  অনুসারে মাদক কারবারিদের সর্বোচ্চ কঠোর সাজা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নে  মাদকের আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।’