মেঘনায় জাটকা শিকার, ২৬ জেলে আটক
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করায় ২৬ জন জেলে আটক করেছে জেলা টাস্কফোর্স। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে কোস্টগার্ডের চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড, আটজনকে ৩২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনকে অভিভাবকের জিন্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের বাড়ি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন—আহম্মদ আলী হাওলাদার (৪২), সোহরাব বেপারী (৪২), করিম হাওলাদার (৪০), মো. জসিম (১৮), রাজিব মোল্লা (২০), দেলোয়ার বেপারী (৪২), ফয়সাল দেওয়ান (৩৫) মো. ফারুক উকিল (৩৫), মেছবাহ উদ্দিন (৪০), মোহন মিজি (৪০), বোরহান (৩৫), আল-আমিন (২০), হাকিম সরদার (২২), সেলিম বেপারী (১৯), সাইম সরদার (১৮) ও মো. সুজন (১৮)।
এছাড়া মো. সাইফুলকে তিন হাজার টাকা, সুমন ও মাহবুবকে দুই হাজার টাকা করে এবং আখতার, মুলুক চান বেপারী, দেলোয়ার, মো. সুমন ও মো. মনিরকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়—আল-আমিন ও মো. শামীমকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২৬ জন জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিউল হোসেন, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।