প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে মুক্তিযোদ্ধার ‘আত্মহত্যা’
গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। গতকাল তিনি পাসও পেয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের পাশে হঠাৎ পড়ে যান তিনি। সেখান থেকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
শেরে বাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিকেল ৪টার দিকে তিনি ময়নাতদন্তের জন্য নুরুল ইসলামের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান ।
সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ বলেছে, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নুরুল ইসলামের ছেলে লেনিন খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছি না।’ পুলিশ তাঁদের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যেতে দেয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
লেলিন খান জানান, তাঁর বাবার পকেটে একটা চিরকুট ছিল। সেই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি দেশের জন্য অনেক কাজ করেছি। এখন আমি আরো কাজ করতে চাই। বর্তমানে আমি হতাশ।’
লেলিন খান আরো জানান, ওই চিরকুটে লেখা ‘চিরবিদায় নিলাম’ লেখাটা তাঁর বাবার নয়। বিষয়টি তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই জীবরাইল খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গত রোববার উনি (নুরুল ইসলাম) ঢাকা গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের কাগজপত্র নিয়ে তিনি প্রায়ই ঢাকা যেতেন।
আজ রাতে নুরুল ইসলামের লাশ তাঁর এলাকা গণগ্রামে পৌঁছাবে বলে জীবরাইল খান জানান।