খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, মাইকিং করে সতর্কতা
খাগড়াছড়িতে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু ঝুঁকিতে থাকা লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় খাগড়াছড়িতে ৫৬ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে পাহাড় ধসসহ যে কোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশ্রয় কেন্দ্রসহ সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পাহাড় ধসের কারণে যানবাহন চলাচল যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য সড়ক বিভাগের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে সচেতনামূলক মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। টানা পাঁচদিনের বৃষ্টির কারণে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠায় শাক-সবজিসহ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সময়ে ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতেই জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে আশ্রয় প্রকল্পে পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানান।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সজিদুজ্জামান বলেন, জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা কম থাকলেও পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালে জেলার নয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।