মায়ামিকে শিরোপা জিতিয়ে মেসির যুক্তরাষ্ট্র জয়
লিওনেল মেসি—এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই মেসি যা করেছেন তা এক প্রকার অবিশ্বাস্য। বাঁ পায়ের জাদুতে শুধু নিজের সামর্থ্যের প্রমাণই দেননি আর্জেন্টাইন তারকা, ক্লাবকে এনে দিয়েছেন প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ।
আজ রোববার (২০ আগস্ট) লিগস কাপের ফাইনালে ন্যাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে মায়ামি গোলরক্ষক কালেন্ডারের বীরত্বে ন্যাশভিলেকে ১১-১০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মেসির দল। মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মেসি। এটিই মায়ামির ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়। অন্যদিকে, দানি আলভেজকে ছাড়িয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ফুটবলার এখন মেসি। তার শিরোপা জয়ের সংখ্যা ৪৪টি।
ম্যাচের শুরুতে মায়ামিকে কিছুটা চাপে রাখে ন্যাশভিলে। চতুর্থ মিনিটে মেসির সুবাদে প্রথম আক্রমণ করার সুযোগ পায় মায়ামি। যদিও মেসির বাড়ানো বড় থেকে জর্দি আলবা গোল অভিমুখে শট নিতে পারেননি। এরপর ম্যাচের ২১তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল মায়ামি। তবে রবার্ট টেইলরের বুলেট গতি শট দারুণ দক্ষতার সঙ্গে সেভ করেন ন্যাশভিলে গোলরক্ষক পানিকো। বারবার আক্রমণে যাওয়া মায়ামির গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে যান মেসি। ডি-বক্সের বাহির থেকে গোলপোস্টের বাঁ দিক দিয়ে মেসির জোরালো শটে গা ভাসিয়েও সেভ করতে পারেননি পানিকো।
আর্জেন্টাইন তারকার নৈপুণ্যে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। এটি লিগস কাপের মেসির দশম গোল। এরপর ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক ন্যাশভিলে। কিন্তু মুক্তারের বাড়ানো বলে ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেনি ম্যাকার্থি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মায়ামি।
বিরতি থেকে ফিরে ছন্দ খুঁজে পায় স্বাগতিক ন্যাশভিলে। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে কর্ণার থেকে ফাফার গোলে সমতায় ফেরে ন্যাশভিলে। এরপর ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মেসি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে গোলের আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল মায়ামি। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি ক্লাবটির। এবারও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে মেসির গড়ানো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় মায়ামি সমর্থকদের।
এরপর ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের দেখা পেয়েই যাচ্ছিল ন্যাশভিলে। তবে মায়ামি গোলরক্ষক কালেন্ডারের দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় রক্ষা পায় মায়ামি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ মায়ামি ফরোয়ার্ড ক্যাম্পানা। অবশেষে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। সেখানেই প্রথম শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে লিওনেল মেসির দল। তলানীতে থাকা একটি দলকে কিভাবে সেরাদের কাতারে নিতে হয়, তাই আরও একবার করে দেখালেন লিওনেল মেসি।