গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের একটি টিম তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়া ওই তিন পরিচালক হলেন- নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এই মামলায় আরও দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
একই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নেবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছে দুদক। আগামীকাল (৫ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসকে দুপুর সাড়ে ১২টায় সশরীরে দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শ্রম আদালতের মামলায় সুবিধা করতে না পেরে দুদকের মামলায় বিচার শুরু করতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। যদিও ওই দিন যথাসময়ে হাজির হবেন ড. ইউনূস।
চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।
মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
আইনজীবী দুই আসামির মধ্যে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী ও অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ। শ্রমিক ইউনিয়নের তিন আসামির মধ্যে রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।