ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত
ফরিদপুর শহরের রামকৃষ্ণ মিশনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। প্রতি বছরের ন্যায় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত।
এবারের কুমারী পূজায় কুমারী দেবী হিসেবে আসনে বসানো হয় শহরের আলিপুর এলাকার বিপ্লব কান্তি দাস ও সোমা দাসের কন্যা প্রথম শ্রেণির ছাত্রী অপরূপা দাসকে। কুমারী পূজায় তার নাম দেওয়া হয় বয়সের শাস্ত্রীয় মতে কুঞ্জিকা।
এ সময় রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণ হাজারও দর্শনার্থী ও নারী-পুরুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। সব বয়সের ও সব ধর্মের মানুষের ঢল নামে সেখানে। এবারের কুমারী পূজায় ফরিদপুর শহর ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত নারীরা অংশ নেয়।
কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের অরজঃস্বলা কুমারী মেয়ের পূজা। আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যায়, হিন্দু তন্ত্রশাস্ত্রমতে ষোলো বছরের কম বয়সী কন্যাকে দুর্গাদেবীর প্রতীকে পূজা করার নাম হলো কুমারী পূজা। আর কুমারী পূজায় প্রতিবছর কুমারীকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে।
বিশেষত দুর্গাপূজার অংশ হিসেবে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্রমতে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় বানাসুর বা কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে।
কোলাসুর নামক অসুর এক সময় স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করে নেয়। কোলাসুর স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করায় বাকি বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। তিনি দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে মানবকন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং কুমারী অবস্থায় কোলাসুরকে বধ করেন।