আগামী ১৩ নভেম্বর খুলনায় ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২৪টি প্রকল্পের কাগজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার ইয়াসির আরেফিন আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ৩৯১ দশমিক ১২ কোটি টাকা ব্যয়সম্বলিত ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং অপর দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।’

২২টি প্রকল্পের মধ্যে আটটি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে গণপূর্ত বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে—জেনোসাইড অ্যান্ড টর্চার আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও আবাসিক ভবন, পাইকগাছা উপজেলার কারিগরি প্রশিক্ষণ সেন্টার, খুলনা অ্যাপরেন্টিস ট্রেনিং অফিস, খুলনা বিএসটিআই আঞ্চলিক কার্যালয়, নারী হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং দৌলতপুরে কৃষিপ্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ।

বাকি ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ (ইইডি)। সেগুলো হচ্ছে—ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বয়রা মাধ্যমিক স্কুল, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি ওমেন্স কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, চালনা বাজার সরকারি গার্লস হাইস্কুল, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নজরুল নগর মাধ্যমিক স্কুল, আর আর এফ মাধ্যমিক স্কুল এবং আড়ং ঘাটা মাধ্যমিক স্কুল।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী যে দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, তা হচ্ছে—স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও দীঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ। এগুলো বাস্তবায়ন করবে যথাক্রমে কেসিসি ও ইইডি।