নওগাঁয় মজুদবিরোধী অভিযানে কমল চালের দাম
অবৈধ ভাবে ধান মজুত করায় নওগাঁ জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৩টি মিলকে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এ সময় তিনটি গুদাম সিল করেছেন আদালত। জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলাম মওলার দাবি, এই অভিযানের ফলে চালের বাজারে দর কমতে শুরু করেছে। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।
গোলাম মওলা জানান, শনিবার বিকেলে শহরের আনন্দ নগর এলাকায় মেসার্স আর এম রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই মিলের তিনটি গুদামে অবৈধভাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যায়। পরে কৃষি বিপণন আইনে মিলের স্বত্ত্বাধীকারী নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে গুদামগুলো সিলগালা করা হয়।
ডিসি গোলাম মাওলা আরও জানান, শহরের বাইপাস এলাকায় তছিরন অটো রাইসমিলে অভিযান চালিয়ে মিলের মালিক আনিসুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। একই এলাকার জায়দা রাইস মিলের মালিক গোলাম কিবরিয়াকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া শহরের মাদার মোল্লা এলাকায় মফিজ উদ্দিন অটো রাইস মিলে অভিযান চালানো হলে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পরে। অনুমোদনের চেয়ে বেশি সময় ধরে ধান-চাল মজুদ রাখায় ওই মিলের মালিক তৌফিকুল ইসলাম বাবুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় এম এম অটোমেটিক রাইস মিলের মালিক মোতাহার হোসেন পলাশ ও সুলতানপুর মহল্লার সুফিয়া অটোমেটিক রাইস মিলের মালিক শফিকুল ইসলাম নাথুকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মান্দা উপজেলার সবাইহাটে মজুতের দায়ে ও লাইসেন্স না থাকায় ফয়জুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
নওগাঁর মহাদেবপুরে অটো রাইস মিলে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটো রাইস মিলে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করেন নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ, ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু ও মহাদেবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সোহাগ।