স্ত্রীসহ দুই সন্তান হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে ধোঁয়াশা
নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও স্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী আশিকুল মোল্লা বাবুর ভালো সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন বাবুর শ্বশুর আব্দুল আলিম। তবে, ‘ঋণে জর্জরিত’ বাবু বা তার পরিবার প্রতিবেশিদের সঙ্গে তেমন ওঠাবসা করত না। তাই তারাও বিশেষ কিছু জানাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার দাড়োয়ানী বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে আশিকুল মোল্লা বাবুর স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০), বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার (১১) ও ছোট মেয়ে জারিন আক্তার (৬)।
বাবু বেশ ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। আগে তার স’মিলের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসায় তার লোকসান হয়। সম্প্রতি তিনি রসুন, পাট, তামাক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, তাতেও ভাগ্য ফেরাতে পারেননি। অনেকের ধারণা, এ কারণে বাবু নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন। তার আগে তিনি পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেন।
বাবুর শ্বশুর আব্দুল আলিম এনটিভি অনলাইনকে জানান, তার মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের ভালো সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাতেও মেয়ে তহুরার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে। কোনো সমস্যার কথা তিনি তাকে জানাননি।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, বাবু-ই এই হত্যা করেছে কি না, তা তিনি সরাসরি জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সিআইডি ক্রাইম সিন পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত বাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
ক্রাইম সিনের উপপরিদর্শক আব্দুল মণ্ডল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য ওই ছুড়ি ছাড়াও নানা ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে, প্রকৃত ঘটনা। তবে, এখানে তিনজন খুন হয়েছে এবং অপর একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে–দৃশ্যমাণ।