হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের সামনে কঠিন লক্ষ্য
হারলেই হোয়াইটওয়াশ। জিতলে বাঁচতে মান। এমন সমীকরণের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সিলেটে ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নামা ভারতকে অল্পতে থামাতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৫৭ রানের।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেছে ভারত। দলের হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন হেমলতা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যোটিং বেছে নিয়েছে সফররত ভারত। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে অবশ্য হোঁচট খায় ভারত। দলীয় ২৫ রানে হারায় ওপেনার শেফালি ভার্মাকে। পঞ্চম ওভারের সুলতানা খাতুনের ডেলিভারিতে ১৪ রানে আউট হন শেফালি।
কিন্তু থিতু হয়ে যান স্মৃতি। তিনি দলীয় ৬২ রানে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন। ২৫ বলে ৩৩ রান করা স্মৃতিকে এলবির ফাঁদে ফেলেন নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হন হারমানপ্রীত কৌর এবং হেমলতা। দুজনেই উইকেটে থিতু হয়ে চড়াও হন। শেষ পর্যন্ত হারমানপ্রীতকে নিজের এলবির শিকার বানিয়েই বিদায় করেন নাহিদা। সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৩০ রান করে যান ভারত অধিনায়ক।
থিতু হওয়ার আরেক ব্যাটারকে মাঠছাড়া করেন রাবেয়া খাতুন। তবে, বিদায় নেবার আগেই দলের ভিত গড়ে দিয়ে যান হিমলতা। তিনি ফেরার পর অবশ্য রানের গতি কমে ভারতের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। রাবেয়া খাতুন নেন ২৮ রানে দুই উইকেট। সুলতানা খাতুনের শিকার একটি।
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চারটিতে জিতে সিরিজ ইতোমধ্যেই বদলদাবা করেছে ভারত। হারমানপ্রীত-স্মৃতি মান্দানাদের লক্ষ্য শেষটি জিতে সিরিজের অপরাজেয় থাকা।
বাংলাদেশের স্বপ্ন শেষ আগেই। চার ম্যাচেই হেরেছে বাজেভাবে। শেষটা জিতে সিরিজে মানসম্মান বাঁচিয়ে রাখা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নইলে পড়তে হবে নিজ মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়।