জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচি
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ বুধবার (২২ মে) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুঃস্থদের মধ্যে রান্না করা খাবার ও বস্ত্র বিতরণ প্রভৃতি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে এই মহান নেতা, মহান পথপ্রদর্শক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য আমরা আগামী ২৮ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সেমিনার, বিনামূ্ল্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, আলোকচিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি। শাহাদাত বার্ষিকীর দিন ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ তারিখ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালযে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালোপতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পোস্টার প্রকাশ ও বিভিন্ন দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, ২৯ মে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং ৩১ মে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণদোয়া হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারাদেশে জেলা ও ইউনিটসমূহ কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে যৌথ সভায় বিএনপির আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, মনির হোসেন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের মামুন হাসান, এম মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, নাদিম চৌধুরী, উলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির উপস্থিত ছিলেন।