রাজধানীর গুলশানে সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার পর কনস্টেবল কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ান। তখন প্রধান ফটকে থাকা কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও তারা ধারণা করতে পারেনি যে, কাউসার তার সহকর্মীকে গুলি করে এসেছেন। 

গেটে দাঁড়ানো কাউসারকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা জিজ্ঞাসা করেন, মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে আছেন। তখন কাউসার উত্তরে বলেন, ‌‘নাটক করতাছে। এমনি রাস্তায় পড়ে আছে।’

এ কথা বলে কনস্টেবল কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশের রাস্তায় চলে যান। এরই মধ্যে নিরাপত্তাকর্মীরা বুঝতে পারেন, মনিরুলকে কাউসার গুলি করেছে।

ওই সময় ঘটনাস্থলে থাকা ফিলিস্তিনি দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

ওই নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘ঘটনা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই কাউসারকে আটক করা হয়। ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭-৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর কনস্টেবল কাউসারকে দেখি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে ছিল কনস্টেবল মনিরুল।’

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ওই এলাকায় ইতোমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে ডিবি, সোয়াটসহ পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন করা হয়েছে।