ট্রেনে ভোগান্তি কমে এসেছে, ঈদযাত্রায় স্বস্তি
ঈদে ট্রেন যাত্রায় চতুর্থ দিনের মতো রাজধানী ঢাকা ছড়াছে মানুষ। প্রথমদিন শিডিউল জটিলতার ফাঁদে পড়েছিল রেলওয়ে। কিন্তু, ধীরে ধীরে তা সঠিক সময়ে ফিরছে। ফলে গন্তব্যের উদ্দেশে ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রায় শামিল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আজ শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে, কিছুটা চাপ বেশি উত্তারঞ্চলের ট্রেনগুলোতে।
দেখা গেছে, সময় মেনে রাজশাহীর ধুমকেতু এক্সপ্রেস, সিলেটের পারাবত এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামের মহানগর প্রভাতি, রংপুর এক্সপ্রেস এবং পঞ্চগড়ের একতা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এবারের যাত্রায় পূর্বাঞ্চল বা পশ্চিমাঞ্চলে শিডিউলে খুব একটা হেরফের হয়নি। তবে, গত দুদিনের তুলনায় শনিবার ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম।
দিনের শুরুতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন যাত্রীদের নেই কোনো ভোগান্তি। এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
গত দুদিনে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে যেভাবে গাদাগাদি করে গেছে, আজকে তেমনটা দেখা যায়নি। তবে, সকালে ছেড়ে যাওয়া রংপুর আর একতা এক্সপ্রেসে ভিড় ছিল। কিন্তু সব যাত্রীই ট্রেনে উঠতে পেরেছেন। খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আর সিলেট ও চট্টগ্রামের ট্রেন অনেকটা ফাঁকা।
স্টেশনের প্রবেশদ্বারে র্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) দেখা গেছে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে, তবে এনআইডি মিলিয়ে দেখতে দেখা যায়নি এবার।
স্টেশনে যাদের টিকিট নেই, তারা ১-৬ নম্বর কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।
কমলাপুর রেলের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ সারাদিন ৬৮ জোড়া ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে যতগুলো ট্রেন সিডিউলে ছিল সবগুলোই নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তি নেই।